
সাদিক বিপ্লব, বিশেষ প্রতিনিধি : টাংগাইলের সখীপুর উপজেলার বড় চওনা দেবরাজ এলাকার মরহুম সামাদ মুন্সির ছেলে আঃ বাছেদ মুন্সির (৫৫) পুরুষাঙ্গ কর্তন করেছে ঐ একই স্থানীয় এক প্রবাসীর স্ত্রী দুই সন্তানের জননী আর্জিনা।.
.
.
বিভিন্ন সুত্রে জানা যায় গত ১৭ই আগষ্ট ২০২৫, বাছেদ মুন্সি ঐ প্রবাসীর স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে গাজীপুর কোনাবাড়ি এলাকায় এক ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়।সেখানে অবৈধ যৌন মিলনকালে বনিবনা না হওয়ায় গোপনে ধারালো ব্লেড জাতীয় অস্ত্র দিয়ে বাছেদ মুন্সির পুরুষাঙ্গ কেটে দেয় ঐ প্রবাসীর স্ত্রী।.
.
.
পরবর্তীতে বাছেদ মুন্সিকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক অপারেশনের মাধ্যমে সেলাই দিয়ে তার লিঙ্গ ব্যান্ডেজ করে দেয়। ইতিপূর্বেও এই বাছেদ মুন্সিকে ধর্ষণের দায়ে সামাজিক বিচারে তাকে সত্তুর হাজার টাকা জরিমানা করে বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে রাখা হয়েছিলো। .
বর্তমানে বাছেদ মুন্সি বাড়িতেই বিশ্রাম নিচ্ছেন।.
.
এদিকে এলাকাবাসী বাছেদ মুন্সির প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ ও নানান অপকর্মের বিচারের দাবীতে গত ২২শে আগষ্ট ২০২৫ শুক্রবার বিকেল তিনটায় দেবরাজ বাজারে এক মানব বন্ধন করেন। মানব বন্ধনে এলাকাবাসীর পক্ষে কথা বলেন, আবু বকর সিদ্দিক, বাদশা মিয়া, সিরাজুল ইসলাম, আবুল কাশেম, আরাফানসহ প্রমুখ। তারা বলেন বাছেদ মুন্সি এলাকায় নিজেকে জামায়াতের বড় চওনা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সভাপতি পরিচয় দিয়ে চলতো।মানুষ তাকে মনে করতো তিনি জামায়াতের প্রভাবশালী কোন নেতা।.
সাংবাদিকদের কাছে বাছেদ মুন্সি তার এই অপকর্মের কথা শিকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে।তিনি বলেন আমরা পালিয়ে গিয়ে গাজীপুর কোনাবাড়িতে আর্জিনাকে হুজুর দিয়ে বিয়ে পড়িয়েছি কিন্তু কোন কাবিন করি নাই। জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,আমি জামায়াতে ইসলামি দল পছন্দ করি।এজন্যই এ দলের জন্য কাজ করেছি।.
.
এদিকে গত কয়েকদিন আগে বাছেদ মুন্সি ও তার প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে সখীপুর থানায় মামলা করতে গেলে সখীপুর থানার ওসি আবুল কালাম ভুইয়া বলেন, যেহেতু ঘটনাটি গাজীপুর কোনাবাড়িতে ঘটেছে সেজন্য মামলা গাজীপুরেই করতে হবে।.
ঘটনাটি নিয়ে সাংবাদিকরা নিউজ করায় বিভিন্ন মোবাইল ফোনে বাছেদ মুন্সির লোকজন সাংবাদিকদেরকে নানা হুমকি ধামকি দিচ্ছে।.
.
এঘটনার সম্পর্কে বড় চওনা ইউপির প্যাণেল চেয়ারম্যান এবং স্থানীয় বাসিন্দা আঃ আজিজ মেম্বার বলেছেন যে, আমি লিঙ্গ কাটার বিষয়টি মোবাইলে দেখেছি। ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করা হবে বলে শুনেছি। অন্যদিকে প্রবাসীর স্ত্রীকে এখনো খোঁজে পাওয়া যায়নি বলে তার মতাতত জানা যায়নি।.
.
স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ এ ঘটনার জন্য বাছেদ মুন্সিকে দায়ী করে তার দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।.
.
স্থানীয় সুত্রে জানা যায় তিনি জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের বড় চওনা ইউনিয়নের চার নং ওয়ার্ডের সভাপতি হিসেবে নানা জায়গায় পরিচয় দিতো এবং জামায়াতের কাজ করেছে। পরবর্তীতে সখীপুর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মনিরুজ্জামান বলেন, অভিযুক্ত বাছেদ মুন্সি আমাদের জামায়াতের কোন নেতা কিংবা কর্মী নন। কোন কমিটিতে তার নাম নাই।আমরা বাছেদ মুন্সিকে চিনিনা।. .
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: